
কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া আদর্শ দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণীর ছাত্রী নাহিদা আক্তারও স্বীকার করেছেন তার প্রেমিক জাহেদ তাকে ব্লেড জাতীয় কিছু একটা নিয়ে আঘাত করেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে এ ভিকটিমকে দেখতে আসেন মহেশখালী থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।
তিনি কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেল (ওসিসি) বিভাগে চিকিৎসাধিন নাহিদার সাথে আলাপ করেন। দীর্ঘ আধা ঘন্টা আলাপ শেষে ওসি প্রদীপ সাংবাদিকদের জানান, নাহিদা জানিয়েছে জাহেদ তাকে হামলা করেছে। নাহিদা এখন সুস্থ আছে উল্লেখ্য করে ওসি জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। দ্রুত আসামীকে গ্রেফতার করা হবে।
এর আগে, মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া আদর্শ দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণীর ছাত্রী নাহিদা আক্তারের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইস বুকে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ছাত্রী মুখে-কপালে সেলাই করা আঘাতের চিহ্ন ছিল। এতে বলা হয়েছে, প্রেম প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় জাহেদ নামের একজন এ হামলার ঘটনাটি ঘটিয়েছে।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে এ ঘটনাটি ঘটলেও তা প্রকাশ পায় ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে। বর্তমানে ওই ছাত্রী ভর্তি আছে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেল (ওসিসি) বিভাগে। গণমাধ্যমকর্মীরা মঙ্গলবার সকালে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসাধীন নাহিদার সাথে কথা বলার চেষ্টা করলেও কর্তব্যরত চিকিৎসক নাহিদার সাথে কথা না বলতে অনুরোধ করেন। তবে কথা হয়েছে নাহিদার চাচা, চাচী, বোনদের সাথে।
তাদের দেয়া তথ্য মতে, দীর্ঘ সময় নাহিদা ও জাহেদের মধ্যে সম্পর্কে একে অপরের বেয়াইন (তালতো ভাই-বোন)। একে অপরের সাথে ছিল প্রেমের সর্ম্পকও। বিষয়টি জানতেন উভয় পরিবারের লোকজন। প্রেমের প্রস্তাব সংক্রান্ত বিষয় নয় মুলত বিয়ে নিয়ে সৃষ্ট বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা। অবশ্যই ঘটনার জন্য জাহেদ দায়ী এবং এর বিচারের দাবিও জানান তারা।
তবে এঘটনায় জাহেদের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে বলেছিলেন, নাহিদার সাথে আমার ৫ বছর সম্পর্ক ছিল এবং বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, গত শনিবার নাহিদার বিয়ে অন্যত্রে ঠিক হয়ে যাওয়ার খবরে সে নিজে নিজে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। নাহিদাকে আমি জখম করি নাই। আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে।
পাঠকের মতামত